নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ সাধারণ ডায়েরির তদন্তের নামে এক নারীকে থানায় ডেকে নিয়ে উপ-পরিদর্শকের যৌন হয়রানির ঘটনায় বরিশালে তোলপাড় চলছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত কোতয়ালী মডেল থানার উপ-পরিদর্শক আসাদুল ইসলাম এখনও বহাল তবিয়তে থাকলেও তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত চলছে বলে জানিয়েছেন মেট্রো পুলিশ কমিশনার মো. শাহাবুদ্দিন খান। বিএমপি কমিশনার বলেন, কেউ আইনের উর্ধ্বে নয়। শৃঙ্খলা বাহিনীর কোন সদস্য শৃঙ্খলা পরিপন্থী কাজ করলে তাকে ছাড় দেওয়া হবে না। ওই নারী ট্রাইব্যুনালে মামলা করেছেন। ট্রাইব্যুনাল পিবিআই’কে অভিযোগ তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। তদন্তে অভিযোগের সত্যাসত্য বেড়িয়ে আসবে এবং সে অনুযায়ী আইনগত ব্যবস্থা হবে। অপরদিকে এ বিষয়ে ওই উপ-পরিদর্শকের বিরুদ্ধে পুলিশের অভ্যন্তরীন তদন্তও চলছে। তদন্তে অভিযোগ প্রমাণিত হলে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়ার কথা বলেন তিনি। গত ২৭ সেপ্টেম্বর জনৈক প্রতিবেশীর বিরুদ্ধে কোতয়ালী মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন নগরীর সাগরদী ধান গবেষনা এলাকার এক গৃহবধূ। ডায়েরি তদন্তের জন্য গত ১৬ অক্টোবর তাকে কোতয়ালী থানার একটি কক্ষে ডেকে নেয় তদন্ত কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক আসাদুল। নানা অজুহাতে দীর্ঘক্ষন ওই কক্ষে বসিয়ে রাখার পর ওই উপ-পরিদর্শক তার শ্লীলতাহানি করে বলে অভিযোগ। বিষয়টি থানার ওসিকে জানানো হলেও তিনি বিচারের আশ্বাসে সময়ক্ষেপণ করেন বলে অভিযোগ। এ ঘটনায় থানা কর্তৃপক্ষ মামলাও নিতে চায়নি বলে অভিযোগ ওই নারীর। প্রতিকার না পেয়ে ২৪ মে ট্রাইব্যুনালে মামলা করার কথা অভিযোগে উল্লেখ করেন তিনি। ট্রাইব্যুনাল ওইদিনই পিবিআই’কে ওই অভিযোগ তদন্তের নির্দেশ দেন। নির্যাতিতার স্বামী জানান, ওইদিন কাজ শেষে ওই থানার কক্ষ থেকে বের হবার পর তার স্ত্রীকে আবারও একা কক্ষে ডেকে নিয়ে যৌন নিপীড়ন চালায় উপ-পরিদর্শক আসাদুল। কিন্তু পুলিশের হয়রানির ভয়ে তিনি এতদিন প্রতিবাদ করেননি। এখন তার স্ত্রী আইনগত প্রতিকার চেয়েছেন। আইন অনুযায়ী এ ঘটনার বিচার দাবি করেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক নারীর স্বামী। ওই ঘটনার পর লোক লজ্জায় প্রথমে আত্মহত্যা করার কথা ভেবেছিলেন বলে জানিয়েছেন ওই নারী।
Leave a Reply